বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির দিশারী মহান বিপ্লবী সিরাজ সিকদার

শান্তনু সুমন||
“তোমরা কি দেখেছো পেয়ারাবাগান?
শুনেছো ভিমরুলি, ডুমুরিয়া-
আটঘর-কুড়িয়ানার নাম?”
সিরাজ সিকদার রচিত ‘গণযুদ্ধের পটভূমি’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতার লাইন।
এখনকার তরুণদের বিপুল অধিকাংশই পেয়ারাবাগানের মহান সংগ্রাম সম্পর্কে জানেন না। অথচ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পেয়ারাবাগান জনযুদ্ধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল। রূপকথার মতো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ ও ভারতে।
এই পেয়ারাবাগানের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে ১৯৭১ সালে সংগঠিত জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের দিকে। জাতীয় মুক্তির সে যুদ্ধ পূর্ববাংলা তথা বাংলাদেশের জনপদের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল আখ্যানের জন্ম দিয়েছিল। শত শত বছরের শোষণ নিপীড়নের জিঞ্জির ভাঙ্গতে এই জনপদের মানুষ বার বার বিদ্রোহ করেছেন। লড়াই করেছেন। ব্রিটিশ ওপনিবেশিক দস্যুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে দীর্ঘ দুশো বছর সংগ্রাম করেছেন। কানু-সিধু, সূর্যসেন-প্রীতিলতারা জীবন দিয়ে সে সংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন। কিন্তু ’৪৭-এ সেই আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা গেল। পাকিস্তানি আমলাতান্ত্রিক পুঁজিপতি ও সামন্তবাদী শাসক শ্রেণি ক্ষমতা দখল করল। পূর্ববাংলায় শোষণ-নিপীড়ন নতুন রূপে হাজির হলো। ’৪৮ থেকে ’৭১; ২৩ বছর ধরে চলমান পাকিস্তানি বাইশ পরিবারের জুলুম-নির্যাতন আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ববাংলার বীর জনগণ আবার সংগ্রামের জাল বুনলেন। ’৭১-এ রচনা করলেন ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিরোধ যুদ্ধ। পাকিস্তানি ওপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে পূর্ববাংলাকে মুক্ত করতে কাতারে-কাতারে জীবন দিলেন মুক্তি পাগল জনগণের সন্তানেরা। পাকবাহিনীর হাতে প্রাণ হারালেন লাখ লাখ মানুষ। ধর্ষিত হলেন আমাদের অগনিত মা-বোন। এ আখ্যানের নাম জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ। পুরো লেখা পড়ুন